সম্প্রতি শেষ হয়েছে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। আর ভোট মিটতেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের একের পর এক পদক্ষেপে জোর জল্পনা জাতীয় রাজনীতিতে। কখনও কেসিআর-এর সঙ্গে বৈঠক তো কখনও সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গে। আবারও কোন ধামাকার পথে পিকে, সেই উত্তর খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।
জাতীয় রাজনীতিতে জোর শোরগোল প্রশান্তের আগামীর অভিমুখ হাতশিবির। চলতি বছরের শেষে গুজরাট বিধানসভার ভোট। পাঁচ রাজ্যের ভোটে মুখ পোড়ার পর কোণঠাসা হাত শিবির পিকের আঙুল ধরেই ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছে বলে খবর সূত্রের। মোদী-শাহের রাজ্যেই বাজিমাত করতে তাঁর ভোট স্ট্র্যাটেজিতেই ভরসা রাখছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
প্রসঙ্গত, গুজরাতের মাটি থেকেই ভোটকুশলী হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল পিকের। দাঙ্গা বিধ্বস্ত গুজরাতে ভাবমূর্তি বদলে বিধানসভা ভোটে মোদীর জয়ের পিছনে পুরোভাগে ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহল বলে, সেইবার পিকের স্ট্যাটেজি ছাড়া ভোট বৈতরণী পার মোদী-শাহের পক্ষে অসম্ভব ছিল। এবার তাই পিকের দ্বারস্থ সোনিয়া-রাহুলরাও।
কংগ্রেসের প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার কোনও সরকারি ঘোষণা এখনও পর্যন্ত না হলেও, রাজনৈতিক মহলের দাবি, পুরনো ঘরেই ফিরছেন পিকে। ইতিমধ্যেই গুজরাত নিয়ে ব্লুপ্রিন্ট কষাও শুরু করে দিয়েছে তাঁর সংস্থা। নতুন প্রজেক্টের জন্য ইতিমধ্যেই কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আইপ্যাক। তবে বেশ কিছু বিষয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে। কারণ সম্প্রতি প্রকাশ্যেই রাহুল-সহ হাত শিবিরের নেতাদের সম্পর্কে সমালোচনায় মুখর হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।