বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন হুগলির সিঙ্গুরের বাসিন্দা আলপনা ঘোষ। হৃদযন্ত্র চললেও পালস ছিল না। তবে চিকিৎসকদের তৎপরতায় নতুন জীবন ফিরে পেলেন তিনি। বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন রোগিণী। হৃদযন্ত্র সচল থাকলেও পালস ছিল না। ফলে ক্রমেই রোগিণীর হাত, পায়ের আঙুল বেঁকে যাচ্ছিল।
এমনই বিরল রোগে আক্রান্ত রোগিণীকে সুস্থ করে তুললেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের তৎপরতায় নতুন জীবন ফিরে পেলেন হুগলির সিঙ্গুরের বাসিন্দা আলপনা ঘোষ।
ঠিকমতো রক্ত না পাওয়ায় রোগীর হাত এবং পায়ের আঙ্গুল ক্রমশ বেঁকে যায়। আলপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। এই রোগের চিকিৎসার জন্য রোগীকে টসিলিজুমাব সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। সুস্থ হওয়ার পর বছর চল্লিশের রোগিণী আলপনা বলেন, ‘ ডাক্তারবাবুরা আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। কিছু ব্যায়াম দিয়েছেন। সেগুলি নিয়মিত করছি।’
মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন ‘টাকায়াসু অর্টেরিটিস’ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন আলপনা। যার ফলে তার হৃদযন্ত্র সচল থাকলেও পালস ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছিল না। ২০১৭ সাল থেকে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু, কোথাও সুফল মেলেনি। অবশেষে মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হন তিনি। চিকিৎসক মহম্মদ শাহিদ রফিক খান জানান, ‘রোগিণীকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এখন উনি সুস্থ রয়েছেন।’
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন বিরলতম এই রোগের প্রথম হদিস পাওয়া গিয়েছিল জাপানে। ১০ লক্ষের মধ্যে ১জন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর হৃদযন্ত্র থেকে ধমনীতে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করতে পারে না। যার ফলে পালসও বোঝা যায় না।