প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জ্বালানির দাম। সেই পরিস্থিতিতে ভারতে মজুত থাকা তেলের পরিমাণ কত, তা নিয়েই প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ঠিক কতদিনের তেল রয়েছে ভারতের হাতে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে. ভারতের হাতে মজুত আছে মাত্র ৭৪ দিনের তেল। অর্থাৎ, ৬ মাসের তেলও মজুত নেই ভারতে।
অন্য দিকে তৃণমূলের সাংসদ মালা রায়ের একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে ভারতে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয়, তা মোট আমদানির এক শতাংশেরও কম। আর তেলের দাম স্থির করা নিয়ে একটি প্রশ্ন করেছিলেন সাংসদ নুসরত জাহান, সেই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রী জানিয়েছে, দাম স্থির করে তেল সংস্থাগুলি।
শেষ কয়েকদিন ধরে রোজই একটু একটু করে বাড়ছে তেলের দাম। আর তাই নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বৃস্পতিবার কেন্দ্রকে এই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আক্রমণ করলেন সাংসদ ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি এ দিন দাবি করেছেন, অভূতপূর্ব হারে দেশের পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ছে। এখনও তেলের দাম না কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের কাছে আরও দাবি করেছেন, আমরা দেখছি রোজই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার তেলের দাম থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছে। হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন করছে কেন্দ্র। গোটা দেশ জুড়ে কংগ্রেস এই পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা করছে ও করবেও, সরকারকে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। শেষ ১০ দিনে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে পেট্রলের দাম, মোট ৬ টাকা ৪০ পয়সা বেড়েছে তেলের দাম।