রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিরোধীদের সমস্ত দাবি উড়িয়ে এবার একাধিক বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার প্রথমেই গেরুয়া শিবিরকে তুলোধনা করে তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন, বিজেপি আমাদের ভারতবর্ষে স্ট্রাকচারকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেটাকে বাঁচানোর জন্য আমরা যারা ভারতকে ভালবাসি, আমাদের সকলকে এককাট্টা হয়ে লড়াই করা উচিত। দলের থেকে বড় হচ্ছে দেশ, দেশ বাঁচলে আমরা বাঁচব, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক আবহওয়াকে নষ্ট করছে বিজেপি। সবাই মিলে একসঙ্গে লড়াই করলে বিজেপিকে আমরা সরাতে পারব।
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের পিছনে সিবিআই-ইডির মতো এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। এ নিয়ে ফিরহাদ বলেন, চমকে ধমকে আমাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। আমাকেও ডেকেছিল গিয়েছিল, গ্রেফতারও করেছিল। আমরা যেহেতু বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করি, অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করি, আমাদেরকে তাই চমকাচ্ছে৷ ইডির ভয় দেখিয়ে ভাবছে আমরা পায়ে ধরব, আমরা পায়ে ধরব না। মতুয়াদের মেলায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর। তবে ফিরহাদের দাবি, বিজেপি তো চেষ্টা করছে মতুয়াদের টানতে, কিন্তু ওরা পারবে না, মতুয়াদের জন্য বিজেপি কিছু করেনি, কারও জন্যই বিজেপি কিছু করেনি, বিজেপি যতই চেষ্টা করুক ওদের এখানে কোন অস্তিত্ব নেই।
প্রসঙ্গত, বাংলার বিজেপি সাংসদদের ডেকে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ফিরহাদ। মন্ত্রীর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে কোনও লাভ হবে না। যারা প্রধানমন্ত্রীর মিটিং-এ যাবেন তারা আর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ফিরে আসবেন না। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তাঁর কটাক্ষ, শুভেন্দু অধিকারীর এখন আর দরকার নেই, তার অবসর নেওয়া উচিত। শুভেন্দু অধিকারী কাজ রাজ্যপাল করছে, রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিজেপির পার্টি অফিসে এসে বসলে ভাল হয়। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের পর এটা মোদীর রিটার্ন গিফট। অমিত মালব্যকে বলুন আগে জিএসটির টাকাটা ফেরত দিতে।