অপরাধীদের শনাক্তকরণ বিল পেশ করতে গিয়ে বিরোধীদের চরম সমালোচনার মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র। নতুন এই বিলে যে কোনও আইনে গ্রেফতার, আটক হওয়া ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপ, পায়ের ছাপ, চোখের ছবি এমন কি ডিএনএ টেস্টের কথা বলা হয়েছে।
অজয় মিশ্র বিলটি পেশ করতে উঠতেই কটাক্ষ করেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাল্টা অজয় মিশ্র বলেন, এক মিনিটের জন্যও দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ড ভোগ করলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, লখিমপুর খেরি কাণ্ডে এই অজয় মিশ্রের ছেলে আশিষ মিশ্রের বিরুদ্ধে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল৷ বিলটি পেশ হওয়ার পরেই প্রবল সমালোচনায় সরব হন বিরোধী সাংসদরা। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, এই বিল সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের বিরোধী। এমন একটি বিল সংসদে পেশ করার সরকারের কোনও অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তৃণমূলের তরফে সৌগত রায় প্রশ্ন তোলেন কেন এই ধরনের একটি বিল সংসদে পেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মণীশ তিওয়ারির বক্তব্য সমর্থন জানিয়ে সৌগত রায় বলেন, এই বিল পেশ করার অনুমতি দেওয়া উচিত হয়নি। বিলটি মানুষের মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে বলে দাবি করেন তিনি।
আরএসপি-র তরফে প্রেমচন্দ্রন বিলের বিরোধিতা করে বলেন, এই বিল শুধুমাত্র মৌলিক অধিকারের বিপক্ষেই নয়, বিলটি মানবাধিকার লংঘন করে। নিজের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, যদি মানুষের স্বার্থ রক্ষার্থে কোন আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি গ্রেফতার হন তাহলে তাঁরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯২০ সাল থেকে অপরাধীদের শনাক্তকরণের আইন রয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী বিশেষ শ্রেণির বন্দী বা অপরাধীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যদিও নতুন বিল এনে সেই আইনটি বদল করে নতুন আইন আনতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।