বেনজির ঘটনার সাক্ষী বিধানসভা। শাসক ও বিরোধী বিধায়কদের হাতাহাতিতে ঝরেছে রক্ত। আহত হয়েছেন একাধিক তৃণমূল বিধায়ক। শাসকদলের বিধায়ককে ঘুঁষি মারার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। পাশাপাশি গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগে আরও ৪ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বিধানসভা সূত্রে খবর, এদিন অধিবেশন চলাকালীন গোলমাল বাঁধানো এবং চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে মারধর করার অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এরপরই বিরোধী দলনেতা সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেন।
এই তালিকায় নন্দীগ্রামের বিধায়ক ছাড়াও রয়েছেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, পুরুলিয়ার বিধায়ক নরহরি মাহাতো, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন।
সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন রামপুরহাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বচসা শুরু হয়। তৃণমূল ও বিজেপির বিধায়করা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। ক্রমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাতাহাতি শুরু হয় দুই দলের বিধায়কদের মধ্যে। ভরা কক্ষেই তৃণমূল বিজেপির সংঘাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিধানসভা।