বনধ সফল করতে মরিয়া বাম কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হল না। রেল অবরোধ করতে কুলগাছিয়া স্টেশনে জড়ো হন বাম কর্মীরা। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা সুখকর হল না। চলন্ত ট্রেনের সামনে পড়ে অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচল বাম কর্মীদের।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কুলগাছিয়া স্টেশনের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া খড়গপুর শাখায়। বনধের সমর্থনে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে কয়েকজন বাম কর্মী রেল অবরোধ করতে কুলগাছিয়া স্টেশনের কাছে রেল লাইনে জড়ো হন। সেই সময় দ্রুত গতিতে আসছিলো ডাউন পাঁশকুড়া-শালিমার লোকাল ট্রেন। বাম কর্মীরা ভেবেছিলেন, লাল পতাকা দেখে চালক ট্রেন থামিয়ে দেবেন। কিন্তু তেমনটা হয়নি। ট্রেন থামেনি। শেষে কোনও রকমে লাইনের পাশে ঝাঁপ দেন বাম কর্মীরা। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ১ জন।
ট্রেন অবরোধের পাশাপাশি রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়, জাতীয় সড়ক অবরোধও শুরু করেছে বাম কর্মী-সমর্থকেরা। ছাড় মেলেনি মেট্রো ও ফেরি সার্ভিসেও। এদিন সকালেই দমদম মেট্রো স্টেশনের ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায় সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা। আবার হাওড়ার সালকিয়ার বাঁধাঘাট-আহিরীটোলা ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয়।হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের সানপুর মোড়, আমতা রোড, ডোমজুড়, বাজার থেকে শুরু করে শলপে ছ’ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়।
এদিকে বনধের দিনই ভোট প্রচার করলেন উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী পার্থ মুখার্জী। আসানসোল ঊষাগ্রাম থেকে মহিশিলা কলোনি এলাকায় নির্বাচনী প্রচার করেন। লোকসভা কেন্দ্রের অন্যান্য বিধানসভায় যদিও বা বন্ধ সমর্থকরা রাস্তায় পিকেটিং করছে। কিন্তু আসানসোলে প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। অন্য দিকে, দুর্গাপুরে পুলিশ ও বন্ধ সমর্থনকারীদের ধ্বস্তাধস্তির ছবি সামনে এসেছে।