জল অপচয় এখন একটি অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবার মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের উদ্যোগে খুঁজে বের করা হচ্ছে, শহরে ঠিক কতটা জলের প্ৰয়োজন। তাই এবার শুধু বাড়িতে নয়, জলের ট্যাঙ্কেও বসতে চলেছে ‘ওয়াটার মিটার’। বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন জানিয়েছে সল্টলেকের তিনটি সেক্টরে এই কাজ শুরু হবে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য, শহরে ঠিক কতটা জলের প্ৰয়োজন হয় তা খুঁজে বার করা।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহরে কতটা জল বিতরণ করা হচ্ছে তা জানতেই ট্যাঙ্কে মিটার লাগানো হবে। প্রথম পর্যায়ের কাজ হিসেবে ৫ নম্বর ট্যাঙ্কের গায়ে মিটার বসানোর কাজ শেষ। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন বাড়ির পাশাপাশি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সেও জলের পরিমাণ মাপতে মিটার বসানো হবে।
পুরসভা সূত্রে খবর, সল্টলেক-নিউটাউন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন প্রায় মিলিয়ন গ্যালন জল মেলে। গরমকালে শহরে জলের প্রয়োজনীয়তা প্রায় ১১ মিলিয়ন গ্যালন মতো। এই জলের প্রয়োজন মেটাতে নিউটাউন থেকে ভূগর্ভস্থ জল পাঠানো হয়।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ফিল্টার করা জলের কতটা অপচয় হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে চাই। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। পাশাপাশি কত জলের প্ৰয়োজন সেটারও হিসেব মিলবে।’
২০১৭ সালে উত্তর কলকাতায় প্রথম এই জলের মিটার বসে। তাতে লক্ষ্য করা গেছে, পরিমাণে তুলনায় চারগুণ বেশি জল ব্যবহার হচ্ছে। সেন্ট্রাল পাবলিক হেলথ এন্ড এনভারমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অর্গানাইজেশনের এক গণনাতে বলেছে, মাথাপিছু প্রতিদিন জল খরচ হয় ১৩৫ লিটার।