আগেই বাংলার কলেজ শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিয়েছিল রাজ্যে সরকার। বাকি ছিলেন কেবলমাত্র জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-র অধীন ন’টি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। এবার সেই অর্থ মঞ্জুর করে দিল রাজ্যের অর্থ দফতর। এই খাতে প্রায় আট কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। খুশি সেখানকার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।
জানা গিয়েছে, অর্থ দফতর থেকে মোট ৭ কোটি ৭৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য। তার মধ্যে ২০১৯ সালের রোপা অনুযায়ী ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মে’র বর্ধিত বেতনের ২ কোটি ৫৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭৩৭ টাকা রয়েছে। স্টেট এইডেড কলেজ টিচার্স বা স্যাক্টদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে। যদিও সেপ্টেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়। সেই বর্ধিত বকেয়া আগেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাদ পড়েছিলেন শুধু জিটিএ-র অধীন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। সেই বকেয়া বাবদ ১ কোটি ৬০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬১৫ টাকা মঞ্জুর করেছে অর্থ দফতর। এর পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন খাতের বকেয়া বা মিসলেনিয়াস এরিয়ার। এর আওতায় পড়ে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য বর্ধিত বেতন বাবদ বকেয়া, পদোন্নতিজনিত বর্ধিত বেতনের বকেয়া, পে প্রোটেকশন জনিত বকেয়া এবং নতুন নিয়োগজনিত বকেয়া।
প্রসঙ্গত, নতুন নিয়োগের পরে বেতন চালু হতে একটি নির্দিষ্ট সময় লাগে। সেটি বকেয়া হিসেবে জমে থাকে। মিসলেনিয়াস এরিয়ার খাতে ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭২ হাজার ১৩ টাকা মঞ্জুর করেছে অর্থ দফতর। ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু বলেন, গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এলাকার কলেজগুলি উচ্চশিক্ষা দফতরের আওতায় পড়ে না। হোম অ্যান্ড হিলস অ্যাফেয়ার বিভাগের আওতায় তাঁদের বেতন হয়। অর্থ দফতর থেকে টাকা ওই দফতরের মাধ্যমে জিটিএ-কে দেয়। তারা সেই টাকা থেকে শিক্ষকদের বেতন দেয়। দেখা যাচ্ছিল, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী, স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন ও বকেয়া তারা যথাসময়েই মেটায়। তবে কলেজের ক্ষেত্রে সমস্যা চলছিল। সেই কারণেই এই বকেয়া তৈরি হয়েছিল। সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আর তারপরেই পদক্ষেপ করেন তিনি।