এবার রামপুরহাটে কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। বিজেপি ও সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে পৌঁছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই দেবাংশু পোস্ট করেন, “লোডশেডিং অধিকারীরাও নতুন করে নন্দীগ্রাম তৈরি করার আশায় মত্ত হয়ে ভুলে যায়, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” বৃহস্পতিবার নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের যুব নেতার সংযোজন, “লোডশেডিং অধিকারীরাও নতুন করে নন্দীগ্রাম তৈরি করার আশায় মত্ত হয়ে ভুলে যায়, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের অনেক সৌভাগ্য যে আমরা এইরকম মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছি। ঈশ্বর এই মহিলাকে সুস্থ রাখুন। সবল রাখুন।”
এরপর সরাসরি রাজনীতিকের নাম করেই দেবাংশু বলেন, “নেতা আসে, নেতা যায়। কিন্তু, গোটা শতাব্দীত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজনই হন। জননেত্রী একজনই হন। শুভেন্দুবাবু ভুলে গিয়েছিলেন, ইনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন, এঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” পাশাপাশি, এদিন নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু ও বাম শিবিরকে একসঙ্গে কটাক্ষ করেন দেবাংশু। রামপুরহাটে গিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আনারুল আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্ট। কিন্তু, ওঁরা (পরিজনরা) তার কাছে অভিযোগ করেছিল। কেন তা সত্ত্বেও পুলিশ পাঠায়নি তা জানা দরকার। ওকে গ্রেফতার করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।” তাঁর সংযোজন, “এখানকার যিনি এসডিপিও ছিলেন তিনি যখন দেখলেন একজনের মৃত্যু হয়েছে তখন কেন তিনি উপযুক্ত পদক্ষেপ করলেন না যাতে আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে! এই গ্রামে আগেও অনেক খুন-খারাপি হয়েছে। এসডিপিও তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি। আইসি-ও তাঁর দায়িত্ব পালন করেনি। সুতরাং যাঁরা যাঁরা দায়িত্ব পালন করেনি এবং ঘটনার প্রেক্ষিতে যাঁরা পুলিশকে ঠিকমতো কাজে লাগাননি আমি তাঁদের কঠোর শাস্তি চাই।”