দেশজুড়ে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রশ্নে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিদেশ থেকে মোট ১৭৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়েছে। যার মধ্যে রাশিয়া থেকে এসেছে ০.৪১৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন। অর্থাৎ ০.২ শতাংশ। আর এই জবাবকে হাতিয়ার করেই মঙ্গলবার কেন্দ্রকে কোণঠাসা করল বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠল, “তাহলে কীসের জন্য পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়ল? কেনই বা দাম বাড়ানোর জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধকে ঢাল করছে বিজেপি? আসলে গরিব বিরোধী মোদী সরকার মানুষের উপর বোঝা বাড়িয়ে নিজেদের ভাঁড়ার ভরতে চায়। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ছ’বছরে সেন্ট্রাল এক্সাইজ ডিউটির নামে ২৬ লক্ষ কোটি টাকা লুট করেছে বলেই সোচ্চার হল বিরোধীরা। যার জেরে দফায় দফায় রাজ্যসভা হয়েছে মুলতুবি। লোকসভা থেকে ‘ওয়াক আউট’ করল কংগ্রেস ও তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটলেই যে রান্নার গ্যাস, কেরোসিন, পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়বে, এমন আশঙ্কা ছিলই। হলও তাই। অথচ বিদেশের বাজারে এখন অপরিশোধিত তেলের দাম ২০১৪ সালের সমান। প্রতি ব্যারেল ১০৮ মার্কিন ডলার। এই দাম সত্ত্বেও ইউপিএ আমলের শেষের দিকে তো পেট্রলের দাম ছিল ৭১ টাকা প্রতি লিটার। তাহলে এখন কেন বেশি? তাই সরকারকে চেপে ধরল বিরোধীরা। মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেওয়ার পাশাপাশি সংসদের উভয়কক্ষেই দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা চড়াল তারা। এ নিয়ে লোকসভায় সরব হন কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। মোদী সরকারকে তোপ দেগে বলেন, এভাবে লুট মানব না। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম কমাতেই হবে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবি করেন। এই ইস্যুতে কাকলি ঘোষদস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, মহুয়া মৈত্রদের সঙ্গে নিয়ে ওয়াকআউট করেন। ওদিকে, রাজ্যসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেন তৃণমূলের দোলা সেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু তা গ্রাহ্য করেননি। হইচই হওয়ার আগেই দু’দফায় সভা মুলতুবি করে দেন।
