কাশ্মীর ফাইলস ছবিটি নিয়ে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন উপত্যকার সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি। তাঁর বক্তব্য, কাশ্মীরের প্রকৃত পরিস্থিতি এবং আজ পর্যন্ত যা যা দুঃখজনক ঘটনা কাশ্মীরে ঘটেছে, তা যদি সিনেমাটিতে বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হত তবে সেটাকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলা যেত। এই সিনেমায় তা নেই।
তাঁর মতে, কাশ্মীরি পরিচিতিকে যে ঘটনা সবচেয়ে আঘাত করেছে, তা হল ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের আতঙ্কে, ভয়ে উপত্যকা ছাড়তে হয়েছে। এটা আমাদের ইতিহাসের দুর্ভাগ্যজনক অধ্যায়। কিন্তু এটাও সত্য যে, হিংসার সমর্থকরা দেখেনি কে কোন ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে।
তারা টিকালাল টাপলুকে মেরেছে, লাসা কলকে মেরেছে, তেমনই মহম্মদ শাহবান উকিলকেও মেরেছে। রেহাই পাননি মৌলনা মসুদীও। তাঁর প্রশ্ন, মীরওয়াইজ কাশ্মীর মৌলনা ফারুক কাদের গুলিতে মরেছে? তারপর শেষযাত্রায় শামিল, শোক মিছিলে শামিল বহু নিরীহ মানুষ গুলির নিশানা হয়েছেন। তাদের কি অপরাধ ছিল? এটাও কাশ্মীরের অন্য একটা দিক। যেখানে এইচএমটি’র জেনারেল ম্যানেজার খেরা সাহেব, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মশীরুল সাহেব জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন। উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব আব্দুল গণি সাহেবকেও হত্যা করা হয়েছে।
সিপিএম নেতা তারিগামি আরও বলেছেন, শ্রীনগরে কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের বোন শীতল কল, অনন্তনাগের প্রেমনাথ ভাট, গুলাম নবি সাহেবকেও নিশানা বানানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ওয়ানধামা হত্যাকাণ্ড যেমন হয়েছে, গাও কদল হত্যাকান্ডকেও ভুলে থাকা যাবে না।