মমতার হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ। আমি তাঁর হাত শক্ত করার চেষ্টা করছি মাত্র। দেশের কোনে কোনে ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে পৌঁছে দিতে চাই। আসানসোল উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েই এমনটা জানিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। এবার ভোটের ময়দানে পুরোদমে নেমে পড়তে আসানসোলে উড়ে এসেছেন তিনি। আপাতত এখানে থেকেই টানা প্রচার চলবে বলিউডের এই সুপারস্টারের। রবিবার রাতে আসানসোলে পা রেখেও শত্রুঘ্ন একেবারে ফিল্মি কায়দাতেই বিরোধীদের ‘খামোশ’ থাকার বার্তা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ‘মমতাদিদি’র খেলা এবার আসানসোলেও হবে। মানুষ উন্নয়নের সমর্থনেই ভোট দেবেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বই থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরে নামেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন। তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন তিনি। গতকাল আসানসোলে নেমেই সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ‘বিহারীবাবু’ জানান, এই আসানসোলের সঙ্গে তাঁর পুরনো সম্পর্ক। বহুবার আগে এসেছেন। এই কথার রেশ ধরেই শত্রুঘ্ন সিনহার চোখের সামনে ভেসে ওঠে ‘কালা পাথ্থর’ ছবির দিনগুলি। শত্রুঘ্নর কথায়, ‘যখন আমি কালা পাথ্থর করছিলাম তখন বহুবারই এসেছি এখানে।’
তবে সে সময়ের থেকে এখন আসানসোলের আমুল বদল নজরে পড়ছে বিহারীবাবুর। নিজে মুখেই সে কথা জানিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এখানে যেভাবে মানুষ আমাকে ভালবাসা দিলেন প্রথমদিনই, আমি কোনওদিন সেটা ভুলতে পারব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দেশের প্রকৃত নেতা এবং বিরোধীদের সবথেকে জোরাল কন্ঠ।’ অন্ডাল বিমানবন্দরে মানুষের ভিড় দেখে দ্বিগুন আত্মবিশ্বাসী শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, এই ভিড় বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষ তাঁর সঙ্গে আছে।