এবার লন্ডনের একটি ছাত্রীনিবাসে খুন হলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রী। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় টিউনিশিয়ার নাগরিক এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ব্রিটিশ পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, টিউনিশিয়ান এই যুবকই তরুণীকে হত্যা করেছে। সে ছাত্রীর উপরে নির্যাতন চালাত বলেও অনুমান পুলিশের। নিহতের নাম সবিতা থানওয়ানি। শনিবার ১৯ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই পড়ুয়ার দেহ মেলে লন্ডনের ক্লার্কেনওয়েল এলাকার আরবার হাউজ ছাত্রীনিবাসের একটি ফ্ল্যাটে। দেহ উদ্ধারের পর দেখা যায় সবিতার ঘাড়ে বড়সড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপরেই বাইশ বছর বয়সী টিউনিশিয়ার নাগরিক যুবক মাহের মারৌফের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে পুলিশ। তাকে শান্তিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করতেও বলা হয়। শেষ পর্যন্ত রবিবার ক্লার্কেনওয়েল এলাকা থেকেই মারৌফকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, সবিতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মারৌফের। কোনও কারণে তাঁদের মধ্যে অশান্তি হয়। সবিতাকে যুবক নানাভাবে নির্যাতন করত বলেও অনুমান পুলিশের।
তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে বলেই জানিয়েছেন লন্ডন পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান লিন্ডা ব্র্যাডলি। তিনি বলেন, “সবিতার পরিবারকে তদন্তের বিষয়ে পর্যায়ক্রমে জানানো হচ্ছে। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত আধিকারিকরাই এই ঘটনার তদন্ত করছেন।” সবিতার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান। তদন্তের গোপনীয়তার কারণে এখনই সবকিছু জানানো যাচ্ছে না বলেও তিনি বলেন। এদিকে সবিতা থানওয়ানির দেহ বিশেষভাবে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সবিতা ছাত্রী হলেও অভিযুক্ত মারৌফ পড়ুয়া নন। তিনি টিউনিশিয়ার স্থায়ী নাগরিক বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে মৃত সবিতা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন, সেই প্রতিষ্ঠানের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যে কোনও ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ছাত্র এবং কর্মীদের পাশে থাকে। আমরা যা যা করতে পারি তা করব। তদন্তে পুলিশকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।”
