চাকরি জোটেনি। পরিকল্পনা ছিল ব্যবসার। তবে ব্যবসার কথা ভাবলেই তো আর করা যায় না। কারণ, প্রয়োজন মূলধনের। সে কারণে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা ভেবেছিল ওই যুবক। লোন না পেয়ে খাস কলকাতায় এক যুবক যা করল, তা নিয়ে জোর শোরগোল।
সেই সমস্যা মেটাতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক থেকে একাধিকবার ঋণও চেয়েছিল সে। তবে লোন পাওয়া যায়নি। সেই আক্রোশ থেকেই এটিএম লুটের চেষ্টা। ধৃতের বয়ান শুনে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদেরও। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৭-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
পুরো বিষয়টি খোলসা করা যাক। আলিপুর চিড়িয়াখানার উলটো দিকে একটি এটিএম ভাঙচুরকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। ওই এটিএমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা দেখেন শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ এক যুবক এটিএমে ঢোকে। তার আচরণে সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
মাত্র তিন-চার মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে এটিএমের ভিতর সেই সময় এক যুবক উপস্থিত। এটিএমে নিচের অংশ ভাঙা।
এটিএমে একটি কার্ড সেই সময়েও লাগানো ছিল। এটিএমের মাথায় রাখা একটি লোহার রড। ওই কাউন্টারটিতে সিসি ক্যামেরাও রয়েছে। তবে সেটি এটিএমেরই স্লিপ দিয়ে ঢাকা। যাতে ওই সিসিটিভির মাধ্যমে কোনও অপরাধ ধরা না পড়ে।
এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকা যুবককে পাকড়াও করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম গণেশ ডোম। আমহার্স্ট স্ট্রিটের বৈঠকখানা রোডের বাসিন্দা। জেরায় জানায়, ব্যক্তিগত কারণে টাকার প্রয়োজন ছিল।