গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠকে বসেন দলের বিক্ষুব্ধ নেতারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুদা। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি দেখা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। বুধবার বিক্ষুব্ধরা বলেন, কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে গান্ধী পরিবারকে সরাতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই পরিবারের যে অনুগামীরা দলের নানা পদে আছেন, সরাতে হবে তাঁদেরও। এরপর সকালেই বিক্ষুব্ধদের একজন রাহুলের সঙ্গে দেখা করায় জল্পনা ছড়িয়েছে নানা মহলে।
একটি সূত্রে খবর, ভূপিন্দর সিং হুদা বা তাঁর ছেলে দীপিন্দরকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ না দেওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। ভূপিন্দর বহুদিন ধরে প্রদেশ কংগ্রেসের সভানেত্রী সেলজা কুমারীর বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে পরিচিত। সেলজা কুমারী গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ।
দু’বছর আগে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় ২৩ জন নেতা দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন, দলে ব্যাপক রদবদল হওয়া দরকার। ওই নেতাদের ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর সদস্য বলা হয়। ভূপিন্দর কিন্তু ওই গোষ্ঠীতে ছিলেন না। বুধবার তাঁকে প্রথম বিক্ষুব্ধদের মিটিং-এ দেখা যায়।
সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের ভোটে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। গত রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পরাজয়ের কারণ নিয়ে আলোচনা হয়। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে সনিয়ার নেতৃত্বে আস্থাজ্ঞাপন করেন। তাঁরা বলেন, সনিয়ার নেতৃত্বে দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হবে। এরপরে দলনেত্রী যে পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেস হেরেছে, সেখানকার প্রদেশ সভাপতিদের সরিয়ে দেন।