লোকসভায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সোনিয়া গান্ধী। দুষলেন ফেসবুক-সহ প্রভাবশালী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে।
এদিন সংসদে সোনিয়া কেন্দ্র সরকারের কাছে দেশের রাজনীতিতে ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির হস্তক্ষেপ বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন। ‘আলজাজিরা’ এবং ‘দ্য রিপোর্টার্স’-এর রিপোর্ট সামনে এনে তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গে গোপনে আঁতাত করেছিল ফেসবুক। ভোটের বিজ্ঞাপনে বিজেপিকে ছাড় দিয়েছে বিজেপি। তুলনায় অনেক বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির বিজ্ঞাপনে।
কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, ফেসবুক কী জবাব দেয় সে দিকে নজর থাকবে সব মহলের। বিজেপি-ফেসবুক বোঝাপড়ার অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। গত লোকসভা ভোটের পর এই অভিযোগে সরব হয় গোটা বিরোধী পক্ষ। আবার সরকার বিরোধী আন্দোলন, প্রতিবাদকে ফেসবুক তাদের মাধ্যমে প্রচার করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ সামাজিক সংগঠনগুলির।
সোনিয়া এদিন এই গুরুতর অভিযোগ করার জন্য বেছে নেন সংসদের জিরো আওয়ারকে। অধিবেশনের এই পর্বে সদস্যরা গুরুতর বিষয়ে স্রেফ স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেই উত্থাপন করতে পারেন। ফলে সাংসদ কী বিষয়ে বলবেন তা বাকিদের জানা থাকে থাকে না। সোনিয়ার অভিযোগে স্বভাবতই সরকার পক্ষ অস্বস্তিতে পড়ে।
সোনিয়ার বক্তব্য, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি মোটেই নিরপেক্ষ নয়, বরং তারা বিজেপি ঘেঁষা। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের রাজনীতিতে ফেসবুকের এই নাক গলানো বন্ধ করতে হবে, দাবি করেছেন কংগ্রেসের সভানেত্রী। তাঁর কথায়, সরকারে কোন দল ক্ষমতায় আছে তার দিকে না তাকিয়ে আমাদের গণতন্ত্র রক্ষায় ঝাঁপাতে হবে। তার জন্য যা করা দরকার করতে হবে।