মোহনবাগানের নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রায় শেষ। মঙ্গলবার ২৪ জনের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ্যে পেশ করা হয়েছে। তাতে দেবাশিস দত্ত এবং বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠীর ২২জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বাকি দু’জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সঞ্জয় ঘোষ ও অশতিপর সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দু’জন দিয়েছেন কোনও শীর্ষ পদে নয়, কার্যকরি কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়বেন।
এর মধ্যে শোনা যাচ্ছে, বিরোধী শিবিরে সুশীলবাবুর মনোনয়ন বাতিল হতে পারে, কারণ তাঁর দাখিলের সময় আর্থিক কোনও সমস্যা ছিল। সেই কারণে বিরোধী থেকে একমাত্র সঞ্জয় ওরফে বাপ্পা নির্বাচনে লড়তে পারেন। বাপ্পা বহুদিন দলের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন, কিন্তু ক্লাবে সেইভাবে কল্কে পাননি। তাঁকে অবশ্য সন্তুষ্ট করতে কার্যকরি কমিটিতে নেওয়া হতে পারে। বাপ্পা দলের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন।
পরিস্থিতি যা তাতে শতাব্দিপ্রাচীন এই ক্লাবে কোনও নির্বাচন হবে না শীর্ষ পদগুলির জন্য। সচিব হিসেবে বসছেন দেবাশিস দত্ত, যিনি ক্লাবে এসেছিলেন প্রয়াত কর্তা অঞ্জন মিত্রের হাত ধরে। তারপরে অঞ্জনের হাত ছেড়ে টুটু বসুর গোষ্ঠীতে নাম লেখান গত নির্বাচনে।
এবার আবার টুটু বসুদের শিবির ছেড়ে তিনি হাত ধরলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুনের। যিনি একসময় ক্লাবে দেবাশিসের স্বঘোষিত বিরোধী কর্তা ছিলেন। সেই দুই কর্তা মিলে গিয়ে নিজেরাই একটি প্যানেল গঠন করেছেন। ওই দুই কর্তার মিলে যাওয়াতে অঞ্জন মিত্রের একটি কথা সামনে আসছে, ময়দানে কোনওকিছুই স্ট্যাটিক নয়।
দেবাশিসদের প্যানেলে রয়েছেন দুই প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য ও সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দেবাশিস গোষ্ঠী যে ১১টি বিভাগীয় পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় আসতে চলেছেন। স্ক্রুটিনির পর মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য দু’দিন সময় পায়। তারপর নির্বাচনী বোর্ড নাম প্রকাশ করবে। দেবাশিসদের শিবিরে কেউই যদিও নাম প্রত্যাহার করতে চান না।