রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রাশিয়া ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার মিলিটারি অপারেশন চলছে। এরই মধ্যে এবার মেলিটোপোল শহরের মেয়রকে রুশ সেনা অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ তুলল ইউক্রেন। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা অ্যান্তন জেরানচেনকো জানিয়েছেন, রাশিয়ার সেনাকে সাহায্য করতে অস্বীকার করায় ইভান ফেডোরভকে অপহরণ করা হয়। অ্যান্তন জানিয়েছেন, রাশিয়ার বাহিনী মেলিটোপোলের দখল নিতে চাইছিল। এক্ষেত্রে ওই শহরের মেয়রের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিনি সেই বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপরেই আচমকা গায়েব হয়ে যান ইভান।
জানা গিয়েছে, শহরের ত্রাণের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। তিনি ক্রাইসিস সেন্টারে ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে আটক করে রুশ সেনা। এই ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘মেলিটোপোলের মেয়রকে অপহরণ করা ঘৃন্য অপরাধ। একজন ব্যক্তি, সম্প্রদায়, দেশের উপর নয়। গণতন্ত্রের উপর আঘাত হেনেছে রাশিয়া। আইসিস-এর মতো আচরণ করছে তারা।’ অন্যদিকে, মারিয়পোলের অবস্থা যে শোচনীয় তা আগেই জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের সরকার জানিয়েছে, রুশ আক্রমণের জেরে ওই শহরের একাধিক বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। রাজপথে মৃতদেহের স্তূপ। ইউক্রেনের সরকার জানিয়েছে, ওই শহরের ১২০০ জন বাসিন্দা যুদ্ধের জেরে মৃত। মারিয়পোল শহরটি শান্তিতে পরিপূর্ণ ছিল। পরিশ্রমী মানুষের বসবাস সেখানে। সেই শহরকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। ইচ্ছে করে ওই এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে।
