উত্তরাখণ্ডে ৪৭টি আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি হেরে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দেবভূমিতে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। ফের কি মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন কাউকে আনবে বিজেপি? নাকি কোনও সেফ সিট থেকে জিতিয়ে এনে ধামিকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে?
বিজেপি সূত্রের খবর, দল ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। আসলে, বিজেপির একটা বড় অংশ হারা সত্ত্বেও ধামিকে মুখ্যমন্ত্রী করার পক্ষে। তাঁদের বক্তব্য, শেষ কয়েক মাসে ধামি যে পরিশ্রম করেছে সেটার পুরস্কার তাঁর পাওয়া উচিত। বিজেপির একাধিক বিধায়ক ধামির জন্য নিজের নিজের আসন ছেড়ে দিতেও রাজি।
কিন্তু গেরুয়া শিবিরের আরেকটা অংশের আবার বক্তব্য, এভাবে পরাজিত কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করলে সর্বভারতীয় স্তরে দলের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেতে পারে। তাছাড়া, ধামিকে মুখ্যমন্ত্রী করলে ভবিষ্যতে অন্য ভোটে হারা নেতারাও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবি জানিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এই ধামি বিরোধী গোষ্ঠী ২০১৭ সালের হিমাচল নির্বাচনের উদাহরণ দিচ্ছেন। যেখানে দল জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেম কুমার ধূমল হেরে যাওয়ায় জয়রাম ঠাকুরকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।
প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ড ভোটের আগে মাত্র বছরখানেকের মধ্যে দু’বার মুখ্যমন্ত্রী বদল করে বিজেপি। ধামি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে বিজেপির অবস্থা রীতিমতো টালমাটাল ছিল। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল যে পাহাড়ি রাজ্যটিতে বিজেপির ক্ষমতায় ফেরা বেশ কঠিন। বিভিন্ন সমীক্ষাতেও বিজেপির ক্ষমতায় না ফেরারই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ মূলত ধামি ম্যাজিকেই উত্তরাখণ্ড দখল করতে পেয়েছে বিজেপি। তাও আবার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি আসন নিয়ে। কিন্তু সমস্যা হল, এত কিছু করা ধামি নিজেই ভোটে হেরে গেলেন। ফলে তাঁর গদি থাকা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।