বুধবার পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পর সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। এদিন এক প্রতিবেশির বাড়িতে পুজোর নিমন্ত্রণে অংশ নিতে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। বাকি সদস্যরা নিমন্ত্রণে গেলেও সে সময় বাড়িতে একাই ছিল মনিকা। নিমন্ত্রণ-বাড়ি থেকে ফিরে এসে ঘরে মনিকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি মনিকাকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারন নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পরীক্ষার চাপে আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জলপাইগুড়ি জেলার কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
মনিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় পুলিশের তরফে কীভাবে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মনিকার সহপাঠী ও প্রতিবেশিদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।