চা সুন্দরী প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গের চা বাগানে ৩,০০০টি বাড়ি তৈরি করবে। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই চা সুন্দরী প্রকল্পের জন্য পাঁচটি চা বাগান বেছে নিয়েছে যার অধীনে রাজ্য সরকার ৩,০০০-এরও বেশি বাড়ি তৈরি করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২০ সালে চা সুন্দরী প্রকল্প চালু করেছিল, যেখানে চা শ্রমিকদের বাড়ি দেওয়া হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের অধীনে, চা শ্রমিকদের মধ্যে ভর্তুকি হারে রেশন বিতরণ করা হবে।
চা শিল্পের বাজার আর্থিক ভাবে করুণ অবস্থার সাক্ষী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরবঙ্গের অনেক চা বাগান লোকসানের মুখে পড়েছে, তাদের অসুস্থ করে তুলেছে। এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘এই অসুস্থ এস্টেটগুলি চা সুন্দরী স্কিমের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হবে, এবং চা শ্রমিকদের জমির অধিকার-সহ তাদের প্রাপ্য ইউনিট সরবরাহ করা হবে।” ধাপে ধাপে উত্তরবঙ্গের বাকি চা বাগান এলাকাতেও বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।
যে পাঁচটি চা বাগানে সরকারিভাবে বসতবাড়ি তৈরি করা হবে তার মধ্যে রয়েছে লঙ্কাপাড়া, দেইখালাপাড়া, তোর্সা, মুজনাই এবং রহিমপুর। রাজ্য সরকার জানিয়েছে এবার চা বাগানের শ্রমিকরাও জমির অধিকার পাবে।
আলিপুরদুয়ার জেলা শাসক সুরেন্দ্র মীনা বলেছেন যে পানীয় জল, বিদ্যুৎ, রাস্তা সংযোগ, খেলার মাঠ এবং সামাজিক পরিকাঠামো-সহ অন্যান্য সমস্ত মৌলিক সুবিধা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগ দেবে। তিনি আরও বলেন, “এই চা বাগানের শ্রমিকরা জমির অধিকার-সহ বিনামূল্যে বাড়ি পাবেন।”