এবার ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিবিআই। গত কয়েক বছর ধরে তদন্তের গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বুধবার সিবিআই কোর্টের প্রশ্ন, “এত দুর্নীতি হতে থাকলে কে বিনিয়োগ করবে ভারতে?” ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এনএসই-র এমডি-সিইও ছিলেন চিত্রা রামকৃষ্ণ। তাঁর আমলে ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত নামে সেবি। তদন্ত করছে সিবিআইও। কিন্তু গত ৪ বছরে সেই তদন্ত তেমন একটা এগোয়নি। যা নিয়ে এদিন বিশেষ আদালত তীব্র ভর্ৎসনা করে।
প্রসঙ্গত, এনএসই-র গ্রুপ অপারেটিং অফিসার এবং এমডি-র উপদেষ্টার পদে চিত্রা রামকৃষ্ণ নিয়োগ করেছিলেন আনন্দ সুব্রহ্মণ্যনকে। দ্রুত তাঁর পদন্নতিও হয়। বিরাট পদে সুব্রহ্মণ্যনকে নিয়োগ করা হলেও তার তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। এর আগে বামার লরিতে বছরে ১৫ লক্ষ টাকারও কম বেতন পেতন সুব্রহ্মণ্যন। চিত্রার দাক্ষিণ্যে রাতারাতি তাঁর বেতন হয় বছরে ১.৬৮ কোটি টাকা। পরে যা বেড়ে দাঁড়ায় বছরে ৪.২১ কোটি টাকা। সবচেয়ে বড় কথা, চিত্রা দাবি করেছেন, এই সবটাই তিনি করেছিলেন হিমালয়ের এক সাধু শিরোমণির পরামর্শ মেনে।
পাশাপাশি, সেবিকে চিত্রা আরও জানিয়েছেন, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের আর্থিক ও ব্যবসার গোপন তথ্যও নিয়ে সাধুর সঙ্গে আলোচনা করতেন। এমনকী কর্মীদের কাজের মূল্যায়নও করতেন ‘শিরোমণি’র সঙ্গে কথা বলেই। সম্প্রতি এই মামলায় ১৯০ পাতার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি। তাতেই জানা গিয়েছে, উচ্চপদস্থ কর্তার নিয়োগ থেকে পদোন্নতি, সবটাই হিমালয়ের এক সাধুর কথা মেনে করেছিলেন চিত্রা। এবার সেই দুর্নীতি নিয়ে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিবিআই। এদিন আনন্দ সুব্রহ্মণ্যনকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।