রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রাশিয়া ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার মিলিটারি অপারেশন চলেছে। রুশ বোমাবর্ষণে কার্যত ধ্বংসস্তূপ ইউক্রেনের একাধিক শহর। এই অবস্থায় ১২ দিনের যুদ্ধশেষে বিধ্বস্ত দেশের পরিস্থিতি দেখে সুর নরম করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার রাতে তিনি জানালেন, আলোচনায় বসার জন্য দরজা খুলে রেখেছেন তিনি। এমনকী, ন্যাটো গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার জন্য যে উৎসাহ তাঁর দেশ দেখিয়েছিল তা থেকেও আপাতত পিছিয়ে আসছেন তাঁরা। সমঝোতা হতে পারে ডনবাস এলাকা নিয়েও।
জেলেনস্কির দেশের ন্যাটো-ভুক্ত হওয়ার জন্য ‘ইচ্ছাপ্রকাশ’-ই অন্যতম প্রধান ও স্পর্শকাতর কারণ ছিল ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের। তবে মঙ্গলবার জেলেনস্কি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি এবং তাঁর দেশ ন্যাটোভুক্ত হওয়ার দাবি ছেড়ে সরে আসছে। তিনি জানান, ‘ন্যাটো ইউক্রেনকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত নয়। এই বিষয়টি বোঝার পরই আমি অনেকটাই শান্ত হয়ে গিয়েছি। ন্যাটো জোটও এখন আমাদের গ্রহণ করতে ভয় পাচ্ছে কারণ তারা রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ শত্রুতায় যেতে চাইছে না।’ অন্যদিকে, মস্কোর ইচ্ছায় সায় দিয়ে ইউক্রেনের পূর্বপ্রান্তের লুহানস্ক এবং ডনেৎস অঞ্চল, যা প্রধানত দেশের ভিতর ‘রুশ বিদ্রোহী’-দের এলাকা হিসাবে পরিচিত, সেই ডনবাস অঞ্চল নিয়েও আলোচনা করতে সম্মতি দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কির কথায়, ‘আমি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলতে চাই। তবে লুহানস্ক এবং ডনেৎস অঞ্চলকে রাশিয়ার প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করা নিয়েও আমরা কথা বলতেই পারি।’