বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল। দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে রাজ্যপালের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। এদিন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, ‘চক্রান্তকারী ধনকড়’ এই শীর্ষকে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আবার জগদীপ ধনকর। রাজ্যপালের সাংবিধানিক পদটাকে কার্যত ছেলেখেলার পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন৷ সোমবার রাজ্য বাজেটের উদ্বোধনী ভাষণে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন বিজেপির সঙ্গে চক্রান্ত করে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছেন তৃণমূলের বিধায়করা। সাংবিধানিক রীতি-নীতিকে সম্মান জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা রাজ্যপালকে হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলেন সাংবিধানিক রীতিনীতি পালন করার জন্য। ধনখড় আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন চক্রান্ত সফল করতে। পরিবর্তে তৃণমূলের মহিলা বিধায়কদের অশালীন কটূক্তি শুনতে হয়েছে বিজেপি বিধায়কদের তরফ থেকে। তা সত্ত্বেও বিধানসভার গরিমা বজায় রেখে শাসক দলের বিধায়করা পাল্টা কোনও মন্তব্য করেননি’।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়েছেন স্পিকারকে। সেখানে তিনি বৈঠক করতে চেয়েছেন। রাজ্যপাল পালটা উল্লেখ করেছেন তিনি মহিলা বিধায়কদের দ্বারা অপমানিত হয়েছেন। যদিও তৃণমূল রাজ্যপালের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূল তাদের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করেছেন, ‘বোঝো ঠ্যালা। যাঁরা অপমানিত হলেন তাঁর ‘ভালবাসার দল’ এর কাছে তাঁদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ’।
আর তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগের কী হবে? তার উত্তর কে দেবে? মিথ্যার জাল বুনতে বুনতে সব সীমা অতিক্রম করেছেন রাজ্যপাল। এবং যথার্থভাবেই তার যোগ্য জবাব দিয়েছেন স্পিকার বন্দোপাধ্যায়। চিঠিতে দুটি বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন স্পিকার। এক, তাঁকে চারদিন সময় দিতে হবে। এবং দুই, আন্তর্জাতিক নারীদিবসে এ কোন নাটক? মহিলা বিধায়কদের অপমান করার অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে? বাংলার জনগণ এবার হিসেব নেবেন’। রাজ্যপাল ইস্যুতে ফের সরগরম রাজনৈতিক মহল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘উনি তদন্ত চান? বেশ। ওঁকে আবার দাঁড় করিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়ে যাক’।