রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রাশিয়া ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার মিলিটারি অপারেশন চলছে। রুশ বোমাবর্ষণে কার্যত ধ্বংসস্তূপ ইউক্রেনের একাধিক শহর। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির আঁচ পড়েছে ভারতেও। কিন্তু তারপরেও কোভিডের পরে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও ভারতের অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ধাক্কা কী ভাবে সামলানো হবে, তা নিয়ে নীরবই রইলেন তিনি।
বাজেট নিয়ে এক ওয়েবিনারে ফের অন্য দেশের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার কথা বলেছেন মোদী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশেও পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বৃদ্ধি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। মূল্যবৃদ্ধি থেকে আর্থিক বৃদ্ধিতেও তা ধাক্কা দেবে। আমেরিকা আজ রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে নতুন করে অশোধিত তেলের দাম নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হবে। তার মোকাবিলা কীভাবে হবে বা সরকার কী ভাবছে, এ নিয়েও মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী।
এ বছর বাজেট পেশ হওয়ার পর থেকেই বাজেটের বিভিন্ন বিষয়ে ওয়েবিনার বা ভার্চুয়াল সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন মোদী। আজ এ রকম দশম ওয়েবিনারে বাজেট নিয়ে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘অতিমারির পরে অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এটা আমাদের আর্থিক সিদ্ধান্ত ও অর্থনীতির মজবুত ভিতের প্রতিফলন।’ অর্থনীতির বৃদ্ধিকে ধরে রাখতে সরকার বিদেশি লগ্নিতে উৎসাহ, পরিকাঠামোয় লগ্নিতে কর ছাড়ের মতো পদক্ষেপ করছে বলেও জানান মোদী। তবে বিরোধীদের প্রশ্ন, পেট্রোলের সঙ্গে ডিজ়েলের দাম বাড়লে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগবে। বাইক-স্কুটার থেকে সেচের পাম্প চালানোর খরচ বাড়বে। মোদী সরকার সে সব কীভাবে সামলাবে?