আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকার মহিলাদের উন্নয়নে কি কি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন তা এবার প্রদর্শন করা হবে আজ রাজ্য জুড়ে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, বেলপাহাড়ি থেকে বনগাঁ সর্বত্র এই সব প্রকল্পের সুবিধা, প্রকল্পের ভূমিকা ও উদ্দেশ্য প্রচার করা হচ্ছে। প্রতি বছরই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই বিশেষ দিনে একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই কর্মসূচীতে যোগ দেন। এই কর্মসূচী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার আরও একবার রাজ্যের মহিলা সুরক্ষা নিয়ে বার্তা দিচ্ছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই গত বিধানসভা ভোটের আবহে একাধিক বিজেপি নেতারা রাজ্যে প্রচারে এসেছিলেন। বিভিন্ন সময় তারা রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। এর পাল্টা প্রচার চালিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস বারবার আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে। বিশেষ করে তাদের বক্তব্যে উঠে আসছে, উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তার প্রতিবাদ করলে যেভাবে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে মহিলাদের এমনকি অভিযোগ জানাতে গেলে খুন করা হচ্ছে, সেই সব প্রসঙ্গ। এই সব অভিযোগকে সামনে রেখেই এবার প্রচারে জোর দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
গত বছরও এই সময়ে নারীদেরঅধিকার, সুরক্ষা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানত রান্না ঘরে বা হেঁশেলে আগুন নিয়ে তিনি রাস্তায় নেমে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন বিজেপি সরকারের। রাজনৈতিক মহলের মতে গত বিধানসভা ভোটে মহিলা ভোট একটা ফ্যাক্টর ছিল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত ছিল, এই ভোট যে দিকে বেশি যাবে সেদিকেই পাল্লা ভারী হবে। তাই নারী সুরক্ষা ও মহিলাদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল বা প্রচার চালিয়েছিল দুই দলই। তবে রাজনৈতি মহলের ব্যাখ্যা মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইউ এস পি হল তার প্রতি মহিলাদের গত কয়েক বছর ধরে অগাধ আস্থা ভোট বাক্সে। সেই আস্থা লোকসভা ভোটের আগেও ধরে রাখতে এবার মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে সাফল্য পেয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। কন্যাশ্রী বা সবুজ সাথীর মতো প্রকল্পও নজর কেড়েছে বারবার। কলকাতা মহিলাদের জন্য সেফ সিটির তকমাও পেয়েছে। সর্বোপরি গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের স্লোগান ছিল, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায় সব স্তরের মানুষের কাছে পৌছে গিয়েছিল তা। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু প্রকল্প ঘোষণা করে থেমে থাকেননি। এর সুবিধা যাতে সকলে পায় সেই কাজও করেছেন। এদিন বিভিন্ন প্রর্দশনীতে সেই ছবিই তুলে ধরা হয়েছে।