রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ দশম দিনে পড়েছে। দু’দেশের সীমানা বা শুধুমাত্র দু’দেশের মানুষের মধ্যেই এই যুদ্ধের প্রভাব এখন আর সীমিত নেই। গোটা বিশ্ব এই যুদ্ধের জেরে এখন অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে পড়েছে।
বিশেষ করে যে দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়া বা ইউক্রেনের আমদানি অথবা রফতানির সম্পর্ক রয়েছে, তাঁদের জন্য সমস্যা আরও বেড়েছে। রাশিয়া বিশ্বের বহু দেশেই খাদ্যশস্য, অপরিশোধিত তেল, শিল্প ধাতুর প্রধান রফতানিকারক। যুদ্ধের ফলে সেই রফতানি বন্ধের মুখে চলে আসায় জিনিসগুলির দাম আকাশ ছুঁতে শুরু করেছে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে সরবরাহ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা
APEDA জানাচ্ছে, ভারত প্রধানত নেপাল, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা এবং ইয়েমেনে গম রফতানি করে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে সারা বিশ্ব গমের সরবরাহ যথেষ্ট সংকটের মুখে পড়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম রফতানিতে প্রভাব ফেলেছে এই যুদ্ধ। যুদ্ধ যদি আরও বাড়ে, তবে গমের সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চিন ও ভারতের পর সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদনকারী দেশ হল রাশিয়া। কিন্তু গম রফতানিতে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে রুশেরাই। অন্যদিকে, গম রফতানিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইউক্রেন। ফলে এই দুটি দেশ থেকে সরবরাহ ব্যহত হলে গমের দাম আকাশ ছোঁয়া হবে। যা দাম বৃদ্ধি করবে আটা, ময়দারও। বাড়ছে গমের দাম
ভারতসহ সারা বিশ্বে গমের দাম ইতিমধ্যেই বেড়েছে
ভারতে প্রচুর পরিমাণে গম উৎপাদন হলেও এবছর দেশীয় বাজারে গমের দাম বেড়েছে। কারণ, বিশ্ব পর্যায়ে গমের দাম বৃদ্ধিতে ভারতও প্রচুর পরিমাণে গম রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বৃহস্পতিবার প্রতি কুইন্টাল গম বিক্রি হয়েছিল 2,400 টাকা দরে। কিন্তু শুক্রবারই সেই দাম বেড়ে 2,500 টাকা প্রতি কুইন্টাল ছুঁয়ে ফেলে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত স্থানীয় বাজারে প্রতি কুইন্টাল গম বিক্রি হচ্ছিল 2000 টাকা কেজি দরে।
১৬ ফেব্রুয়ারি কৃষিমন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, দেশে 2021-22 সালে রেকর্ড মাত্রায় গম উৎপাদন হয়েছে। অগ্রিম অনুমান করা হয়েছে, 111.32 মিলিয়ন টন গমের উৎপাদন হয়েছে। APEDA-এর তথ্য বলছে, 2020-21 সালে দেশ থেকে 20,88,487.66 মেট্রিক টন গম রফতানি করা হয়েছে, যার মূল্য প্রায় 4,037.60 কোটি টাকা।