বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় ফিরেছেন তিনি৷ ৫ মার্চ দলের চিন্তন বৈঠকেও থাকবেন। আর সেই বৈঠকে শুধু তৃণমূলকে দোষারোপ করে নয়, বিজেপির গোড়ায় গলদে খুঁজতে চান লকেট চট্টোপাধ্যায়। ১০৮টি পুরসভার ভোটে পর্যদুস্ত হওয়ার পর যখন শুধু সন্ত্রাসের তত্ত্ব আঁকড়ে হারের কারণকে দেখাতে চাইছে সুকান্ত শিবির, তখন হুগলির সাংসদ দলের নিচুতলার সংগঠনের বেহাল দশা নিয়েও মুখ খুলতে পারেন বলে খবর। আর তাই বৈঠক শুরুর আগে থেকেই একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, আজ বঙ্গ বিজেপির চিন্তন বৈঠকে লকেট চট্টোপাধ্যায় কি ঝড় তুলবেন? তাঁকে কি আদৌ সেই সুযোগ দেওয়া হবে? কারণ তিনি মুখ খুললে সমস্যায় পড়বে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবির।
প্রসঙ্গত, আত্মবিশ্লেষণ নিয়ে ব্যাখ্যায় শুক্রবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যে ঝড় উঠেছে দলের অন্দরে। লকেট বলেছেন, ‘আত্মবিশ্লেষণ করা দরকার। যে হার হয়েছে তা মাথা পেতে নেওয়া উচিত। বিজেপির সমস্ত কর্মী ও আমাদের আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে। ভুল-ত্রুটি শোধরাতে হবে। একে অপরের উপর দোষ বা দায় চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। সংগঠনের কোথায় খামতি তা দেখতে হবে।’ হুগলিতে দলের ফল হতাশাজনক নিয়ে তাঁর বক্তব্য, যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা বলতে পারবেন। আবার দলের বিদ্রোহ নিয়েও মুখ খুলেছেন হুগলির সাংসদ। তিনি বলেন, “দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সকলের সঙ্গে আমি কথা বলব। কে বিদ্রোহী এসব নিয়ে ভাবি না। সবাই আমার কাছে দলের কর্মী ও নেতা।’
