বিসর্জন কার্যত অনেক দিন আগেই হয়ে গিয়েছিল। এখন শুধু তাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিলমোহর পড়া বাকি। শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসে যোগ হবে ব্যর্থতার নতুন অধ্যায়। এগারো দলের আইএসএলে সব দলের শেষে থাকার কলঙ্ক।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জিতলে ২০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট হবে ইস্টবেঙ্গলের। তাতেও লিগ টেবলে একাদশতম স্থানেই থাকবেন আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচরা। কারণ, দশম স্থানে থাকা নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসিরও সংগ্রহে রয়েছে ১৪ পয়েন্ট।
সুনীল ছেত্রীদের বেঙ্গালুরু এফসিকে আজ, শনিবার এসসি ইস্টবেঙ্গল হারিয়ে মরসুম শেষ করবে, অতি বড় সমর্থকও এই আশা করছেন না। এমনকি, কোচ মারিয়ো রিভেরাও বলতে পারছেন না, বেঙ্গালুরুকে হারানোর ক্ষমতা তাঁর দলের রয়েছে কি না। ১৯২৮ সালে কলকাতা লিগে সবার শেষে থাকা ইস্টবেঙ্গল নেমে গিয়েছিল দ্বিতীয় ডিভিশনে।
আইএসএলে যদি অবনমন থাকত, ৯৪ বছর আগের লজ্জা নিশ্চিত ভাবেই ফিরত। ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় কোচের মানসিক অবস্থা সব হারানো নাবিকের মতো। চোখের সামনে দেখছেন দলের তলিয়ে যাওয়া, অথচ কিছু করতে পারছেন না। এই অবস্থায় লক্ষ লক্ষ সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কী বা তিনি করতে পারেন?
শুক্রবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে মারিয়ো বলেছেন, ‘‘সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইছি ভাল ফল করতে না পারার জন্য। আমরা দুঃখিত। তবে সমর্থকরা নিশ্চয়ই এই দলটার লড়াকু মানসিকতার জন্য গর্বিত হবেন। প্রত্যেকটি ম্যাচে ছেলেরা ক্লাবের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে লড়াই করেছে। আশা করব, পরের মরসুমে ছবিটা নিশ্চয়ই বদলাবে।’’