যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন মালদার ছাত্র মাসুম হামিদ পারভেজ। তিন-চারদিন আগে শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তারপর থেকেই নিখোঁজ সে।
কিয়েভের একটি মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মালদার মাসুম হামিদ পারভেজ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। তারপরই দেশে ফিরত সে। ছেলে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় যখন হামিদের বাবা-মা দিন গুনছেন, পুতিন তখন ইউক্রেন আক্রমণের ব্লু-প্রিন্ট সাজাচ্ছেন।
২৪ তারিখ থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করল রাশিয়া। ফলে হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়ার মতো মালদারও হামিদও আটকে পড়লেন যুদ্ধকবলিত ইউক্রেনে। সতীর্থদের সঙ্গেই ঠাঁই নিলেন কিয়েভের বাঙ্কারে। বাইরে তখন যুদ্ধের সাইরেন। মুহূর্মুহ গোলাবর্ষণ করছে রুশ বাহিনী। এমত অবস্থায় নেটওয়ার্কের সমস্যায় সঠিকভাবে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করে উঠতে পারেননি তিনি। খাবার নেই, জলও ফুরিয়ে আসছে। বাকি রসদও শেষের মুখে।
ছেলের জন্য উৎকণ্ঠায় ঘুম উড়েছে পরিবারের। বাবা মোমিনুদ্দিন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। তাঁর কথায়, ”টানা কয়েকদিন ছেলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। জানি না কেমন আছে। শেষবার জানিয়েছিল, খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে। বাঙ্কারেই লুকিয়ে আছে ওরা। সরকারি ভাবেও কোনও তথ্য মেলেনি।” সরকারের কাছে ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার কাতর আর্জি জানাচ্ছেন মালদা হরিশ্চন্দ্রপুরের মিটনা হাইস্কুলের শিক্ষক মহম্মদ মোমিনুদ্দিন।
যত দিন এগোচ্ছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমত অবস্থায় ছেলের জন্য দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের।