শেষযাত্রায় ডানলপ। আগামী সপ্তাহেই নিলাম হতে চলেছে দেশের প্রথম টায়ার কারখানার। এরপর নিলামের অর্থে ব্যাঙ্ক বা ঋণদাতা সংস্থা থেকে শুরু করে শ্রমিকদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হবে। কারখানার নিলামের ফলে দেশ থেকে ডানলপের অস্তিত্ব পুরোপুরি শেষ হতে চলেছে তা এক প্রকারের নিশ্চিত প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই।
হুগলির সাহাগঞ্জ এবং তামিলনাড়ুর আম্বাত্তুরে ডানলপ কারখানার শাখার নিলাম করা হবে। এরমধ্যে হুগলির সাহাগঞ্জ কারখানার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা এবং তামিলনাড়ুর আম্বাত্তুরের এই কারখানার মূল্য ৪০০ কোটি টাকা। ডানলপ নিয়ে জটিলতা শুরু হয়েছিল বাম আমল থেকেই। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করেছিলেন। পরে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য সরকার এই কারখানা অধিগ্রহণ করতে চাইলেও কেন্দ্র তা করতে দেয়নি বলে অভিযোগ।
হুগলির সাহাগঞ্জ এবং তামিলনাড়ুর আম্বাত্তুরে ডানলপ কারখানার শাখার নিলাম করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার বন্ধ হয়েছে ডানলপ। ২০০৬ সালে রুইয়া গোষ্ঠী এই কারখানার দায়িত্ব নেয়। সেই সময় বকেয়া বাবদ শ্রমিকদের ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা থাকলেও এককালীন ৫ হাজার টাকার বেশি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তারপর থেকে মালিকপক্ষ আর শ্রমিকদের মধ্যে চলে দীর্ঘ টানাপোড়েন। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত লিকুইডেটর বিজ্ঞপ্তি জারি করে কারখানার যন্ত্রপাতি বিক্রি শ্রমিক এবং অন্যান্য পাওনাদারদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, হুগলির সাহাগঞ্জ কারখানায় ৫৪ জন স্থায়ী শ্রমিকের প্রায় ২ কোটি এবং ১১৩ জন শ্রমিকের প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। নিলামে তুলে সেই টাকা মেটানো হবে।