বিগত ২০২১ সালে করোনাকালে জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছে রেস্তোরাঁটি। তারপর এক বছরের মাথায় রাশিয়ার হানায় কার্যত ধ্বংসস্তূপের রূপ নিতে বসেছে ইউক্রেন। তবে হাল ছাড়েননি মণীশ। দেশ, কাল, সীমানা, দ্বন্দ্বের লড়াই পেরিয়ে তাঁর যুদ্ধ অনেক বড়, তিনি আগে লড়েছেন জীবিকার জন্য, আর এখন মানবতাকে বাঁচানোর লড়াই তাঁর সামনে। আর হার মেনে ঘরে ফিরতে রাজি নন মণীশ।।একদিকে চলছে ধ্বংসলীলা, আর অন্যদিকে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদ। একদিকে লড়াই দেশ বনাম দেশের, অন্যদিকে, মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। ইউক্রেনের বুকে যখন আছড়ে পড়ছে একের পর এক শেল, রাস্তায় ছড়িয়ে যাচ্ছে রক্ত, ভিড় বাড়ছে দগ্ধ মৃতদেহের, তখন সেই রণাঙ্গন থেকে সাধারণ মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে ভারতীয় রেস্তোরাঁ ‘সাথিয়া’। গুজরাতের ৫২ বছরের মণীশ দাভের এই রেস্তোরাঁ ‘সাথিয়া’ যুদ্ধের মাঝেও লড়ছে মানবতা রক্ষার লড়াইতে।
প্রসঙ্গত, বাড়ি থেকে দূরে থাকলেই যে কোনও ভারতীয়ই ‘ঘরের খাবার’ খোঁজেন। আর সুদূর ইউক্রেনের বুকে পড়তে আসা ভারতীয়দের মুখে ‘ঘরের খাবার’ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই মণীশ শুরু করেছিলেন রেস্তোরাঁর ব্যবসা। রেস্তোরাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সাথিয়া’। আর যুদ্ধের ময়দানে সেই ‘সাথিয়া’ই এখন আর্তদের ‘সঙ্গী’। রাশিয়ার এয়ারস্ট্রাইক, শেলিং থেকে বাঁচতে এই রেস্তোরাঁ আশ্রয় দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সঙ্গে পাওয়া যাবে খাবারও। কিন্তু প্রশ্ন হল কতদিন চালানো যাবে এভাবে? রেস্তোরাঁর মালিক মণীশ বলছেন, “যতদিন পারব ততদিন।” তাঁর রেস্তোরাঁতে বিনা দ্বিধায় আশ্রয় নেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি খবর ছড়িয়ে দিতে শুরু করেছেন। তিনি লিখছেন, “ভারত থেকে আসা প্রিয় বন্ধুরা ও যেকোনও দেশের নাগরিকরা… আমাদের রেস্তোরাঁ বেসমেন্টে রয়েছে। এটা হামলা থেকে বাঁচার নিরাপদ জায়গা এই পরিস্থিতিতে। যদি আপনাদের কাছে নিরাপদ স্থান না থাকে,তাহলে চলে আসতে পারেন এখানে। আর আমরা আমাদের সবরকমের সামর্থ দিয়ে বিনামূল্যে খাবার যোগানের চেষ্টা করব।”