রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রাশিয়া ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার মিলিটারি অপারেশন চলছে। একের পর এক শহরের দখল নিচ্ছে রাশিয়া। এবার ইউক্রেনে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালাল রাশিয়া৷ রুশ হামলার জেরে জাপোরিঝঝিয়ার ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন ধরে যায়৷ রাশিয়ার একটানা গোলাগুলি বর্ষণের জেরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছ’টি চুল্লিতে আগুন ধরে যায়৷ যার জেরে প্রাথমিক ভাবে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি।
পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে তেজষ্ক্রিয় রশ্মি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও উদ্বেগ বাড়তে থাকে৷ যদিও সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের থেকে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের স্তর নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই রয়েছে৷ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পরই তা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে হুঁশিয়ারি দেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা৷ রাশিয়াকে সতর্ক করে তিনি জানান, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গোলাবর্ষণ বন্ধ না হলে চের্নোবিলের থেকে দশগুণ বড় বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রুশ বোমারু বিমানের হামলায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷