ইতিহাসের অবসান। সাড়ে তিন দশকে প্রথমবার কাঁথি পুরসভা হাতছাড়া হল অধিকারীদের। জয় হাসিল করল তৃণমূল।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ গোটা অধিকারী পরিবারের গড় হিসেবেই পরিচিত ছিল কাঁথি৷ ফলে এই পুরসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করেছিলেন অনেকেই৷ যদিও ভোটের ফল বেরোতে দেখা গেল, গোটা রাজ্যের মতো কাঁথিতেও সবুজ ঝড় উঠেছে৷
যদিও এবার শান্তিকুঞ্জের কেউ প্রার্থী হননি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারীরা বিজেপিকে জেতাতে প্রাণপাত পরিশ্রম করেছিলেন। অধিকারী ব্রাদার্স বলেছিল, ‘আমরা জিতিয়ে দেখাব’! কিন্তু সেই লড়াই কোনও কাজে এল না।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাঁথি পুরসভার ২১টি আসনের মধ্যে ১৭ টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ ২টি ওয়ার্ড দখলে রাখতে পেরেছে বিজেপি৷ নির্দল প্রার্থী জিতেছেন একটি ওয়ার্ডে৷ ফলে কাঁথি পুরসভা ইতিমধ্যেই শাসক দলের দখলে চলে এসেছে৷ এমনকী যে ওয়ার্ডে শুভেন্দুদের বাড়ি, সেখানেও তৃণমূল জিতেছে।
বিজেপি শিবির অবশ্য শুরু থেকেই কাঁথিতে ভোটের দিন লুঠপাটের অভিযোগে সরব হয়েছে৷ কাঁথিতে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী৷ তবে বিরোধী দলনেতা হয়েও শুভেন্দু কার্যত কাঁথি কামড়ে পড়েছিলেন। দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে প্রিচার করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত গড় ধরে রাখতে পারলেন না তাঁরা।
প্রবল বাম জমানাতেও কাঁথি ছিল অধিকারীদের দখলে। এমনকি একবার কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হিসেবেও কাঁথি দখল করেছিলেন শিশির অধিকারী। পর্যবেক্ষকদের মতে, কাঁথির এই হার আসলে শুভেন্দুর হার। তৃণমূল ব্যঙ্গ করে বলছে, যে পাড়ার ভোটে জিততে পারে না, সে আবার রাজ্যের নেতা!