এবার প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারই বারাণসীর উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের শেষ দু’দফার ভোটে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচার করবেন তৃণমূল নেত্রী।
বাংলা ছাড়িয়ে এবার ভিন রাজ্যে পা দিয়েছে তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় সরাসরি লড়াই করছে না তৃণমূল। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অখিলেশ যাদবের পাশে দাঁড়িয়েছে ঘাসফুল শিবির। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিপূর্বে একদফা প্রচার সেরে এসেছেন তিনি। তখনই জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্র বারাণসীতে যাবেন। সেখানে অখিলেশের সঙ্গে যৌথপ্রচার করবেন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবারই উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশে উড়ে যাচ্ছেন মমতা।
দলীয় সূত্রে খবর, এদিন বারাণসী পৌঁছে দশাশ্বমেধ ঘাট পরিদর্শন করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পুজো দেবেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে। ৩ মার্চ অখিলেশ যাদবের সঙ্গে সারবেন যৌথপ্রচারও। বারাণসীর সাংসদ নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কেন্দ্রে দাঁড়িয়েই তাঁর বিরুদ্ধে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়বেন তৃণমূল নেত্রী। যা দেখে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, এদিন থেকেই কার্যত ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের দামামা বাজতে চলেছে। আর সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোদির কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী যে মমতাই, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যাবে।
নির্বাচনী উত্তাপে ফুটছে উত্তরপ্রদেশ। ইতিমধ্যে একদফা প্রচার সেরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রথমবার লখনউ পৌঁছে বিমানবন্দরেই মমতা স্থির করে ফেলেছিলেন তাঁর পরবর্তী প্রচার সূচি। নেত্রীর টার্গেট প্রধানমন্ত্রী মোদীর কেন্দ্র বারাণসী । জানিয়েছিলেন, ‘বারাণসী লাস্ট ফেজে যাব। বারাণসীর শিব মন্দিরে যাব। প্রদীপ জ্বালানো দেখব। অনেকদিন আগে গিয়েছি। কিন্তু আর সুযোগ পাইনি। এবার সেখানে যাব। তার সঙ্গে নানা সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথাও বলব, বৈঠকও করে নেব’।