পুরনির্বাচনে অব্যাহত সবুজ-ঝড়। বারাসত মহকুমার পাঁচটি পুরসভাতেই দাপুটে জয় পেল তৃণমূল। যদিও তা প্রত্যাশিতই ছিল, তবে তৃণমূল জেতার পাশাপাশি কার্যত ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গেল বিজেপি। মহকুমার কোনও পুরসভায় একটিও আসনে জয় পেল না পদ্মশিবির। উল্লেখযোগ্য ভাবে ভাল ফল করে পাঁচ পুরসভা মিলিয়ে ১০ আসনে জয় পেল বামফ্রন্ট। বারাসত পুরসভার ৩৫ আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে এসেছে ৩০টি ওয়ার্ড। এ ছাড়া সিপিএম পেয়েছে দুটি ও একটি আসনে জয় পেয়েছে সিপিআই। নির্দল জয় পেয়েছে দুটি আসনে। অশোকনগর পুরসভায় ২৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ২০টি আসনে জয় পেয়েছে। সিপিএম জয় পেয়েছে ২টি আসনে। কংগ্রেস জয় পেয়েছে একটি আসনে।
পাশাপাশি মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৮ আসনের মধ্যে মোট ২৪টিতে জয় পেয়েছে তৃণমূল। বামফ্রন্ট এখানে জিতেছে চারটি আসনে। তবে হাবড়া পুরসভা বিরোধী শূন্যই থেকেছে। এই পুরসভার ২৪টি আসনই দখল করেছে তৃণমূল। গোবরডাঙা পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এখানেও একটি আসন পেয়েছে বামফ্রন্ট ও একটি আসন জিতেছে তৃণমূল। তবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, ভোটের সাফল্যের পর খুব বড় করে বিজয় মিছিল না করাই শ্রেয়। বিরোধী নেতাদের মিষ্টি খাওয়ানোর প্রক্রিয়া চলতে পারে। তৃণমূল নেতৃত্বের স্পষ্ট নির্দেশ, উল্লাস প্রকাশ করবেন। উল্লাস হোক, কিন্তু তা যেন কখনওই মাত্রাছাড়া না হয়। সাধারণ মানুষের জনজীবন যেন বিঘ্নিত না হয়। কর্মীদের দেওয়া বার্তায় তৃণমূল জানিয়েছে, “ভোটের আগে এবং পরে বহু প্ররোচনা, হামলা সহ্য করতে হয়েছে। কোথাও বিরূপ মনোভাব মনের মধ্যে পুষে রাখবেন না। প্রত্যেকটি জয় দলের কর্মী, নেতৃত্বকে আরও দায়িত্বশীল আরও সংবেদনশীল আরও সহনশীল হতে হবে। মানুষ অনেক আশা করেছেন। সেখানে ভুলেও এমন কোনও পদক্ষেপ আগামীদিনে করবেন না যাতে কেউ কোনও প্রশ্ন তুলতে পারে।”
![বারাসতেও সবুজ ঝড় - পাঁচ পুরসভাই তৃণমূলের দখলে, একটি ওয়ার্ডেও জয় পেল না বিজেপি](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2022/03/WhatsApp-Image-2022-03-02-at-17.06.57-11.jpeg)