দিলীপের গড়েও হল না মুখরক্ষা। সকাল বিকাল গড় আঁকড়ে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। শাসকদল-পুলিশকে এক হাত নিয়ে প্রচার সেরেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। হাত নাড়িয়ে অনুগামীদের পাশে নিয়ে খোশমেজাজে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রচার করেছেন দিলীপ ঘোষও। কিন্তু পুরভোটের ফল বলল অন্য কথা। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের গড় বাঁচিয়ে রাখতে পারলেন না দিলীপ। মেদিনীপুরে ২০টি আসন তৃণমূলের দখলে, তিনটি বাম, একটি নির্দল ও একটি কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল মেদিনীপুর পৌরসভার বোর্ড দখলের পথে। এর আগের পৌরনির্বাচনে মাত্র ১৩ টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। সেখান থেকে এবার ৭টি আসন বাড়িয়েছে। পরবর্তীকালে আরও অনান্য দল থেকে প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ দেন। মোট ১৯ টি আসন হয় তৃণমূলের।
মেদিনীপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী শম্ভুনাথ পণ্ডিত হারলেন নবাগত তৃণমূল প্রার্থী রাহুল বিষয়ের কাছে। তিনি এবারই প্রথম নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। পুরোপুরি বিজেপি শূন্য মেদিনীপুর পৌরসভা। বিজেপি খাতাও খুলতে পারেনি সেখানে।
খড়্গরপুর দিলীপের পুরনো গড়। পুরভোটের আগেই রেলশহরের ভোটে মাফিয়াযোগের অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি। গত পুর-নির্বাচনেও সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল সেখানে। কম আসন পেয়েও অন্য দলের কাউন্সিলর ভাঙিয়ে বোর্ড গঠনের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার পরে ২০১৬ সালে প্রথম খড়্গপুর বিধানসভায় পদ্ম ফোটান দিলীপ। লোকসভা ও গত বিধানসভা নির্বাচনেও এখানে উড়েছে গেরুয়া আবির।
পুরবোর্ড ধরে রাখতে দিনরাত এক করে খেঁটেছিলেন দিলীপ-শুভেন্দু। এদিকে, পুরবোর্ড প্রত্যাবর্তনেও মারণকামড় দিয়েছিল তৃণমূল। শেষমেশ বোর্ড দখলই করে নিল ঘাসফুল।