উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বারবারই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্বভারতী। এবার ফের ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যজুড়ে যখন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে, তখনও বন্ধ বিশ্বভারতীর হোস্টেল। এর ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন পড়ুয়ারা। এর পাশাপাশি অফলাইনে পড়াশোনা শুরু, পরীক্ষার নেওয়ার দাবিও রয়েছে তাঁদের। এই সব মিলিয়েই এবার ফের ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তাঁরা।
অনলাইনে পড়াশোনার পর অফলাইনে পরীক্ষা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া এই বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবিতে সোমবার রাতভর বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভিতরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। সারারাত ঘেরাও করে রাখা হয় কর্মসচিবকে। টানা ২০ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকালে তিনি ঘেরাওমুক্ত হন। তবে আপাতত ঘেরাও তুলে নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের হুঁশিয়ারি, অফলাইনের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন চলবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল থেকেই পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্যাম্পাসের গেট টপকে ভিতরে ঢুকে মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার ক্লাস বন্ধ করে দেন তাঁরা। বেশ কয়েকটি দাবিতে তাঁদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচী বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল অবিলম্বে হস্টেল খোলা, অফলাইনে পড়াশোনা শুরু, পরীক্ষার নেওয়া, মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে।অন্যদিকে হোস্টেল ইস্যু নিয়ে তাঁদের অভিযোগ, বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপরও খোলেনি হোস্টেল।