মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের পর হাইকোর্টেও ধাক্কা খেতে হল গেরুয়া শিবিরকে।
এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, তিনি এই মামলার শুনানি গ্রহণ করবেন না। যেহেতু প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে তাই মামলার শুনানি গ্রহণ করবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছেন তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে শুভেন্দুকে ধাক্কা খেতে হয় সুপ্রিম কোর্টে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে দেয়, এই মামলা নিয়ে যা বলার কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে বলুন। এখানে নয়। সেই প্রেক্ষিতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি।
সুপ্রিম কোর্টই বলেছিল, যত দ্রুত সম্ভব মুকুল রায়কে নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করা হোক। শীর্ষ আদালতের সেই পরামর্শেই গত ১১ ফেব্রুয়ারি মুকুল মামলার রায় দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন। তিনি যে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন এমন কোনও প্রামাণ্য নথি বিধানসভায় জমা করতে পারেননি তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনকারী।