কেটে গেছে চার দিন। চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দু’পক্ষেরই বঙ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনার প্রস্তাব দিল রাশিয়া। বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেনও। এর মাঝে বাদ সেধেছে আলোচনাস্থল। রাশিয়ার প্রস্তাবিত বৈঠকস্থ নিয়ে ঘোর আপত্তি কিয়েভের। রবিবার সমঝোতা বৈঠক নিয়ে বার্তা দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে বেলারুশে আলোচনার টেবিলে বসতে চায় মস্কো। আর এই আলোচনাস্থল নিয়েও আপত্তি কিয়েভের। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে আলোচনা নিয়ে আগ্রহী তারা। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতে বেলারুশে বৈঠকে বসবে না তারা। জেলেনস্কির কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলেনস্কির তরফে জানানো হয়েছে, “রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে আমরাও আগ্রহী। কিন্তু বেলারুশে আলোচনায় বসব না। কারণ ওরা রাশিয়ার আগ্রাসনে সাহায্য করেছে। বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে কিয়েভে হামলা চালিয়েছে পুতিন বাহিনী।” কোথায় কোথায় আলোচনা হতে পারে, তাও জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তানবুল, বাকুতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন জেলেনস্কি। এখন তাঁর প্রস্তাবে মস্কো রাজি হয় কিনা সেটাই দেখার। শনিবার রাতভর ইউক্রেনের একাধিক শহরে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে পুতিন বাহিনী। উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে খারকভের গ্যাসের পাইপলাইন। কিয়েভের তেলভাণ্ডারেও আঘাত হেনেছে তারা। রবিবার বেলার দিকে খারকভ শহরও মস্কো বাহিনী দখল করেছে বলে দাবি করেছে রুশ মিডিয়া। যদিও সে কথা মানতে নারাজ ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দাবি, সামরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। অর্থাৎ রাজধানী কিয়েভ এবং খারকভে আক্রমণ শানাতে পারেনি রাশিয়া।