আজ রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। সক্রিয় সব দলগুলিই। তবে এই ভোটে বিজেপির সাংগঠনিক পর্যায়ের সাধারণ সম্পাদকরাই সেভিবে সক্রিয় হলেন না। কেউ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখলেন। কেউ আবার পুরভোটে হারের দায় এড়াতে ময়দানেই নামলেন না। গত ২০শে সেপ্টেম্বর বঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন সুকান্ত মজুমদার। প্রায় তিনমাস পর ডিসেম্বরের শেষে রাজ্য কমিটি ঘোষিত হয়। সেখানে পাঁচজন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। যার মধ্যে তিনজন নতুন মুখ। বাকি দু’জন বিদায়ী কমিটিতেও সাধারণ সম্পাদক পদ সামলেছিলেন। তাঁরা হলেন, দলের এমপি লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাত। বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সভাপতির পর সাংগঠনিক ক্ষমতার বিচারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ এই সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু সাম্প্রতিক ৪ কর্পোরেশন ভোটে গোহারা হেরেছে বিজেপি। তারপর পুরভোটেও পাঁচ সাধারণ সম্পাদকদের অংশগ্রহণ তেমন চোখে পড়েনি, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
এ বিষয়ে দলের এক শীর্ষ নেতা জানান, “লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গোটা পুরসভা ভোটে খুঁজে পাওয়া গেল না। যদিও তিনি উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা ভোটে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু গত ১২ই মার্চ সেই ভোট শেষ হওয়ার পর কেন তিনি প্রচারে নামলেন না?” এ প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “উত্তরাখণ্ড থেকে ফিরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তাই এই কম সময়ে প্রচারে যেতে পারিনি। আমি দলের অনুগত সৈনিক। পুরুলিয়ার এমপি জ্যোতির্ময় সিং মাহাত পুরসভা ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন।” প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচার সহ সমস্ত ক্ষেত্রেই জেলায় জেলায় বিতর্ক রয়েছে, যা নিয়ে একাধিক জেলায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। রাজ্য কমিটির এক নেতার কথায়, জ্যোতির্ময়বাবু কেবলমাত্র পুরুলিয়া কয়েকটি পুরসভা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গোটা বাংলাই তাঁর ভাবনায় থাকা উচিত। কিন্তু বাস্তবে নিজেকে সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রেই আটকে রেখেছেন পুরুলিয়ার সাংসদ।