কিছুদিন নানান জটিলতার কারণে বন্ধ ছিল প্রস্তাবিত নতুন ভবন তৈরির কাজ। সেই পর্ব কাটিয়ে ফের বাইপাসের ধারে শুরু হল তৃণমূলের নতুন ভবন নির্মাণের ক্রিয়াকর্ম। তবে নতুন ভবন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত শাসকদলের অস্থায়ী সদর দফতরের জন্য প্রাথমিকভাবে তিনটি জায়গা দেখা হয়েছে। এরমধ্যে একটি জায়গা চূড়ান্ত করবেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েক বছর ধরে সায়েন্স সিটির অদূরে বাইপাসের ধারে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতর। ২০০২ সালের মে মাসে এই ভবন তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াই-আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তারপর থেকে বাংলায় দলের সংগঠন ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে। বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যেও এখন তৃণমূলের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্য দপ্তরের কাজের পরিধি ও চাপ দুই বেড়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার বাংলায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই ভবন আমূল সংস্কারের। সেইমতো বাইপাসের ধারে ভবনটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। নতুন ভবনের প্রাথমিক নকশাও চূড়ান্ত হয়েছে। জেলা থেকে আসা দলের কর্মীদের বসার এবং তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা দরকার। পাশাপাশি রাজ্য কমিটি সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের শীর্ষকর্তাদের আলাদা ঘরেরও ব্যবস্থা করা এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, এই ভবন ভেঙে ফেলার পর বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি সহ নানা কারণে সংস্কারের কাজ খানিকটা শ্লথ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দলের কর্মীরা। তবে তৃণমূল ভবন চত্বরের হালের ছবি বলছে, ফের নতুন করে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভবন চত্বর পরিদর্শন করেছে। যাতে কাজে গতি আসে, সেকারণে নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে তারা। জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে জি প্লাস ফোর, অর্থাৎ পাঁচতলা বাড়ি তৈরি হবে। শুক্রবারই মাটি পরীক্ষা হয়েছে। দলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, নিজস্ব জমিতেই প্রাথমিকভাবে তৈরি হবে তৃণমূল ভবন। পরে বর্ধিত অংশে অ্যানেক্স বিল্ডিং তৈরি হবে। এই ভবন তৈরি হতে মাস কয়েক সময় লাগবে। নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চলছে, যাতে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা যায়। এদিকে, নতুন ভবন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য পার্টির কাজ চালানোর জন্য বিকল্প জায়গা দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি দলের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করেন দলনেত্রী। অস্থায়ীভাবে কাজ চালানোর জন্য কালীঘাট, চেতলা ও সায়েন্স সিটি এলাকায় তিনটি বাড়ি দেখা হয়েছে। তার মধ্যে একটি বাড়ি চূড়ান্ত করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।