সোমবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া। আর তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। বৃহস্পতিবার সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন চালানো হবে। আর তারপর থেকেই ইউক্রেনের মাটিতে গুলি-বোমা বর্ষণ চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা, ব্রিটেন যখন মস্কোকে যখন তুলোধনা করছে, তখন রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরতই থাকল ভারত। আর ভারতের এই অবস্থানের কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। উল্লেখ্য, ভারতের পাশাপাশি চীনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। এই নিয়ে সেনা সাংসদের কটাক্ষ, ভারতের এই বিদেশ নীতি পরে ভারতকেই আঘাত করতে পারে। তাঁর হুঁশিয়ারি, রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে গিয়ে ভারতকে চীন ইস্যুতে একঘরে না হতে হয়।
টুইটে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, ‘যুদ্ধের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকা আপনার সম্পর্ককে আরও ভাল করে না, বরং সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আপনার নীতিগুলিকে দুর্বল করে তোলে। আগামীকাল আমরা চীনের বিরুদ্ধে সমর্থন নাও পেতে পারি। আজ আমরা চীনের মতো একই পাশে দাঁড়িয়েছি। যেটি আমাদের বিদেশ নীতি সম্পর্কে অনেক কিছু বলে।’ মোদী সরকারকে তোপ দেগে তিনি এ-ও লেখেন যে, ‘মজার বিষয় হল যারা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর নামে গালাগালি ও সমালোচনা বন্ধ করতে পারে না, তারা রাষ্ট্রসংঘে তাদের অবস্থানের স্বপক্ষে দেওয়ার যুক্তির জন্য ‘জোট নিরপেক্ষ’ নীতি ব্যবহার করছে। ভণ্ডামির সব সীমা পার করছে সরকার।’ এর পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘেরও সমালোচনা করেছেন প্রিয়াঙ্কা। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের নিন্দা করার প্রস্তাব ছাড়া ইউক্রেনকে মাটিতে সাহায্য করতে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা কী হতে চলেছে? মিত্র দেশগুলো মুখে সমর্থনের কথা বললেও ইউক্রেনকে একা লড়াই করার জন্য ছেড়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘকে নতুন বিশ্ব অর্ডারে নিজের প্রাসঙ্গিকতা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’