সোমবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া। আর তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। গতকাল সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন চালানো হবে। আর তারপর থেকেই ইউক্রেনের মাটিতে একের পর এক গুলি-বোমা বর্ষণ চলছে। এর জেরে বহু ভারতীয় আটকে পড়েছে সেই দেশে। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, প্রায় ২০ হাজার। যার মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া! এবার এ দেশ থেকে সেখানে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া এক ছাত্রী জানালেন তাঁর রোমহষর্ক অভিজ্ঞতার কথা।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন শুনশান রাস্তা। তেমনি অন্যদিকে এটিএম থেকে টাকা তোলার ব্যস্ততা। অথচ কয়েকশো লোকের লাইন ঠেলে এটিএমের দরজা পর্যন্ত পৌঁছলেও শান্তি নেই। ততক্ষণে টাকা শেষ। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, জল-খাবার বা অন্য নিত্যদিনের সামগ্রী ঘরে মজুত রাখতে। কিন্তু ভয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। গোটা ইউক্রেনজুড়ে যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মূর্ছনা। কিয়েভ, খারকেভ এলাকায় পরপর বোমার শব্দ। টিভিতে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক মাশরুম ব্লাস্টের ছবি রক্তাক্ত করছে হৃদয়। অথচ বছর তিনেক আগে ডাক্তারি পড়তে আসার সময় নিজের দেশ এবং প্রিয়জনদের ছাড়ার কষ্ট ছিল। আজ, চেরনিভিৎসির মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের রুমে বসে ভাবছি, কবে আবার মা-বাবাকে দেখতে পাব! যুদ্ধ হবে আশঙ্কা করেই আগামী ৪ মার্চ দেশে ফেরার টিকিট কেটেছিলাম। তবে রাতে খবর পেলাম শুক্রবারই বুদাপেস্ট দিয়ে আমাদের ফেরার ব্যবস্থা করছে দিল্লী।