সোমবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া। আর তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। গতকাল সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন চালানো হবে। আর তারপর থেকেই ইউক্রেনের মাটিতে চলছে মুহুর্মুহু গুলি-বোমা বর্ষণ। এর বিরোধিতা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন। বলেছেন, রাশিয়ান মহাকাশ কর্মসূচীও নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে। যদিও এরপরই পাল্টা আঘাত করেছে মস্কো।
রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থা, রোসকোমোস-এর প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ওয়াশিংটন যদি সহযোগিতা বন্ধ করে, তাহলে মহাকাশ স্টেশনকে অনিয়ন্ত্রিত আবর্জনার হাত থেকে কে বাঁচাবে? কক্ষচ্যুত হয়ে তা ইউরোপ, আমেরিকার ওপরে পড়তে পারে। রোগজিন একাধিক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আপনাদের প্রভাবশালীরা ব্যবসায়ীরা মহাকাশে আবর্জনা ছড়িয়ে রেখেছেন। সেই আবর্জনার ৫০০ টন ভারত এবং চীনের ওপরও পড়তে পারে। সেই দায় কি আপনারা নিতে চাইবেন? আপনারা যদি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করেন, তাহলে অনিয়ন্ত্রিত ডিঅরবিটিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপে পতিত হওয়া থেকে কে রক্ষা করবে?’ টুইটে তিনি এ-ও লিখেছেন, ‘ভারত এবং চীনের ওপর ৫০০ টন আবর্জনা ফেলে দেওয়ার বিকল্পও রয়েছে। আপনারা কি তাদের এমন সম্ভাবনার মুখে পড়তে দিতে চান? আইএসএস রাশিয়ার ওপর দিয়ে ওড়ে না, তাই সমস্ত ঝুঁকি আপনাদের। আপনারা কি এর জন্য প্রস্তুত?’