সোমবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া। আর তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। গতকাল সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন চালানো হবে। আর তারপর থেকেই ইউক্রেনের মাটিতে একের পর এক গুলি-বোমা বর্ষণ চলছে। এর জেরে বহু ভারতীয় আটকে পড়েছে সেই দেশে। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, প্রায় ২০ হাজার। যার মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া! এবার ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলার ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে খোঁজ খবর পাওয়ার জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, এক সিনিয়র আইএএস অফিসারের নেতৃত্বে ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের নিয়ে এই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, যেসব বাঙালিরা আটকে রয়েছেন ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে, তাঁদের সাহায্য করারও চেষ্টা করা হবে।
তবে ইউক্রেনে কতজন আটকে আছেন, এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সুস্পষ্ট ধারণা নেই নবান্নের কাছে। তাই অবিলম্বে সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। যত দ্রুত সম্ভব নিজের নিজের জেলায় কতজন ইউক্রেনে আটকে আছে সেই তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ জেলা শাসকদের। সূত্রের খবর, নবান্ন কেন্দ্রের সঙ্গে এই ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আটকে থাকা বাসিন্দাদের তথ্য চেয়েছেন মুখ্যসচিব। নবান্নের কাছে সেই তথ্য এসে পৌঁছালেই তা কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ি-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে ইউক্রেনে আটকে থাকার খবর আসছে। যদিও সঠিক কতজন তা জানা যায়নি। উল্লেখ্য, গতকাল থেকেই বিমান পথ বন্ধ। তাই কীভাবে ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরানো হবে তা নিয়ে একের পর এক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চলছে। বিদেশ মন্ত্রক বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছে, পথ খুঁজছেন ভারতীয়দের ফেরানোর। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কথা আলাদা করে ভেবে কন্ট্রোল রুম চালু করল নবান্ন। সকাল ন’টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত চালু থাকবে পরিষেবা। কন্ট্রোল রুমের নম্বর হল: ২২১৪৩৫২৬, ১০৭০।