সোমবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া। আর তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। গতকাল সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন চালানো হবে। আর তারপর থেকেই ইউক্রেনের মাটিতে একের পর এক গুলি-বোমা বর্ষণ চলছে। সীমান্ত পেরিয়ে সেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এ দেশের মানুষের মধ্যে। টিভির পর্দায় চোখ, কিংবা ফোন ঘোরাচ্ছেন একের পর এক জায়গায়। উৎকন্ঠার কারণ, পরিবারের কেউ কেউ না কেউ আটকে ইউক্রেনে। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, প্রায় ২০ হাজার ভারতীয়। তার মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া! যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশবসীর কাছে।
বিমান পথ বন্ধ। কীভাবে তাঁদের দেশে ফেরানো হবে? সেই নিয়ে একের পর এক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চলছে। বিদেশ মন্ত্রক বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছে, পথ খুঁজছেন ভারতীয়দের ফেরানোর। গতকালের আগে পর্যন্ত বিমান গিয়ে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের নিয়ে এসেছে। কিন্তু কাল সকাল থেকে রাশিয়া, অসামরিক বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই উদ্বেগ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপায় খুঁজতে ব্যস্ত বিদেশ মন্ত্রক। স্থলপথে কীভাবে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়রা কাতার হয়ে দেশে ফিরতে পারেন। পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আলোচনা চলছে যেখান দিয়ে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে আনা সম্ভব। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ-ও জানানো হয়, যে সীমান্তের কাছাকাছি থাকা ভারতীয়রা হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র এবং রোমানিয়ার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।