সোমবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া। আর তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। এদিন সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন চালানো হবে। যেমন কথা তেমন কাজ। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে পুরোদস্তুর হামলা শুরু করে দিয়েছে রুশ সেনা। এর পিছনে রয়েছে মূলত চারটি কারণ।
প্রথমত, রাশিয়া বহুদিন ধরে বলে আসছে, পশ্চিমী শক্তিগুলির ঘনিষ্ঠ হচ্ছে ইউক্রেন। ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানরা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলছেন। প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেন পাশ্চাত্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখুক, পছন্দ করেনি মস্কো। দ্বিতীয়ত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, ইউক্রেন পশ্চিমী শক্তিগুলির হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। তার কোনও স্বাধীন অস্তিত্বই নেই। তৃতীয়ত, পুতিন দাবি করেছিলেন, ইউক্রেন ও পাশ্চাত্য দেশগুলিকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, ইউক্রেন কখনও ন্যাটো জোটে যোগ দেবে না। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ ঘটাতে হবে। তাকে হতে হবে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। চতুর্থত, ইউক্রেন একসময় সোভিয়েত রাশিয়ার অংশ ছিল। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের গভীর সাংস্কৃতিক যোগ রয়েছে। ইউক্রেনের নাগরিকদের এক বড় অংশ রুশ ভাষায় কথা বলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে দুই দেশের সংঘর্ষ হয়। তারপরে কখনই সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি।