টানা সাত ঘণ্টা জেরার পর আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। এই খবর সামনে আসতেই একদিকে যেমন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়িতে ভিড় জমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, তেমনই আবার ফোন করে কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দুই দলের প্রধানের মধ্যে প্রায় ১০ মিনিট বার্তালাপ হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শরদ পাওয়ার প্রশ্ন করেন যে, ওনার জায়গায় যদি তিনি থাকতেন, তবে কী করতেন?
কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা হতে গিয়েই কাছাকাছি এসেছে বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতিই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ৫ রাজ্যের বিধানসভা ফল বেরনোর পর দুই মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতেরও পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর বুধবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের গ্রেফতারির খবর পেতেই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে ১০ মিনিটের ফোনালাপে তাঁর মতামত জানতে চেয়েছেন শরদ পাওয়ার। নবাব মালিকের গ্রেফতারির পর বিজেপির তরফে তাঁকে পদ থেকে সরানোর যে দাবি তুলেছে, তা নিয়েই মতামত জানতে চান তিনি। প্রশ্ন করেন যে, গত বছর যখন নারদা মামলায় সিবিআই তাঁর মন্ত্রীদের গ্রেফতার করেছিল, সেই সময় তিনিও ওই সমস্ত নেতাদের মন্ত্রীপদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন কিনা। সেই সময় তিনি কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন, তাও জানতে চান শরদ পাওয়ার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবাব মালিকের গ্রেফতারির সমালোচনা করেন এবং শরদ পাওয়ারকেও সতর্ক করেন যে, তিনি যেন বিজেপির হাতে পরিচালিত না হন ও নবাব মালিককে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা থেকে বের না করে দেন। বিজেপিকেই গোটা ঘটনার পিছনে মাস্টারমাইন্ড বলে, ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী দলগুলিকে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই সূত্রের খবর।